শেষ ম্যাচে বড় হার, তবুও সিরিজ বাংলাদেশের

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে হোঁচট খেলেও সিরিজ জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার লাহোরে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে লিটন দাসের দল। তবে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করায় ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়েনি। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এই পরাজয়ে ১৭ বছর পর আবারও বড় ব্যবধানে হারের তেতো স্বাদ পেল টাইগাররা। ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১০২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ সময় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এত বড় ব্যবধানে পরাজয়ের মুখে পড়েনি দলটি।
আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করায় শেষ ম্যাচে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন। তবে পাকিস্তানের ব্যাটাররা এদিন ছিলেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। একাদশে ফেরা ওপেনার শাহিবজাদা ফিরদৌস ৪১ বলে খেলেন ৬৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। সঙ্গে হাসান নাওয়াজ করেন ৩৩ এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ যোগ করেন আরও ২৭ রান। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১৭৮ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩টি উইকেট শিকার করেন। নাসুম আহমেদ নেন ২টি, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন পান ১টি করে উইকেট।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে ফিরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (৮), মেহেদী হাসান মিরাজ (৯), জাকের আলী (১), শেখ মাহেদী (০) ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৫)। ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৪ রান তুলতেই ম্যাচ কার্যত হারিয়ে বসে টাইগাররা।
দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৭০ রান ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩৪ বলে ৩৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসেই বাংলাদেশ শতরান স্পর্শ করে। তবে ১৭তম ওভারে শরীফুলের বিদায়ে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে এই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় টাইগারদের।