"ছুটি কেড়ে নেওয়া অন্যায়"—ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে অসন্তোষে রাফিনহা

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ব্রাজিল ও বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনহা। সম্প্রসারিত ফরম্যাটে আয়োজিত এবারের ক্লাব বিশ্বকাপকে ঘিরে খেলোয়াড়দের নিরবিচারে ব্যস্ততায় ক্ষুব্ধ এই ফুটবলার বলেছেন, “ছুটি থেকে বঞ্চিত হওয়া অন্যায়।”
এক সাক্ষাৎকারে রাফিনহা বলেন,
“বিশেষ করে ইউরোপের ক্লাবে যারা খেলে, তাদের এখন ছুটিতে থাকার কথা। কিন্তু এখনো বিশ্রাম পায়নি অনেকে। মারকিনিওস আর বেরালদো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পরপরই জাতীয় দলে, সেখান থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে—উৎসব তো দূরের কথা, ঘুমানোরও সময় মেলেনি।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“অনেকে এটাকে অজুহাত বলছে। হতে পারে বা নাও পারে। কিন্তু বাধ্য হয়ে ছুটি ছেড়ে দিতে হওয়া সহজ নয়। প্রত্যেকের কমপক্ষে এক মাসের বিশ্রাম দরকার। অথচ অনেক খেলোয়াড় তা পাচ্ছে না।”
রাফিনহার মতে, ছুটি হচ্ছে খেলোয়াড়দের অধিকার। কিন্তু সেই অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, কোনো আলোচনাও ছাড়া।
“পিএসজি যদি ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে চায়, তাদের আগস্টেই সুপার কাপ খেলতে হবে। এক ফোঁটা বিশ্রাম নেই। আমাদের কেউ জিজ্ঞেসও করেনি, আমরা খেলতে চাই কিনা। এটা একতরফা সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তটা আমাদেরও নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত ছিল।”
চাপের মধ্যে বিশ্বমানের ফুটবলাররা
ফিফার সম্প্রসারিত ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে ১৪ জুন, চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। এরপর মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ইউরোপের বড় লিগগুলো আবার শুরু হবে।
পিএসজির মতো দলগুলোকে আগস্টের মাঝামাঝি সুপার কাপেও খেলতে হবে, যার মানে দাঁড়ায়—বিশ্রামহীন টানা ২–৩ মাসের ফুটবল।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এই পরিস্থিতি খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ক্লাব, ফেডারেশন ও খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়বে ফুটবল।
