অধিনায়ক আসেন, অধিনায়ক যান—বাংলাদেশ টেস্ট দলের শেষ নেই অধিনায়ক বদলের মিউজিক্যাল চেয়ারে

বাংলাদেশ টেস্ট দলে যেন অধিনায়কত্ব এক ধরনের মিউজিক্যাল চেয়ার—একজন আসেন, অন্যজন যান। ১৪ জন ক্রিকেটার টেস্ট ক্যাপ্টেনের আসনে বসলেও কেউই স্থায়ী হতে পারেননি। কেউ সরে দাঁড়িয়েছেন ব্যর্থতার দায় নিয়ে, কাউকে আবার বিদায় দিয়েছে বোর্ড। আর কিছু অধিনায়ক বিদায় নিয়েছেন অভিমান থেকে।
সেই তালিকায় এবার যোগ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৩ সালের শুরুতে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়া শান্ত এক বছরের মাথায় টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব নিজে ছেড়েছেন, ওয়ানডে থেকে সরানো হয়েছে, আর অভিমানে এবার টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ালেন।
টেস্ট অধিনায়কত্বের ইতিহাস যেন এক ব্যর্থতার চিত্রপট:
নাঈমুর রহমান দুর্জয়: বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক। ৯ ম্যাচেই জয়হীন, সরিয়ে দিয়েছিল বোর্ড।
খালেদ মাসুদ পাইলট: ১২ ম্যাচে জয় না পেয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়।
খালেদ মাহমুদ সুজন: ৯ ম্যাচেই বিদায়।
হাবিবুল বাশার: ১৮ ম্যাচ নেতৃত্ব, শেষে ওয়ানডে হারানোর পর টেস্টও ছিনিয়ে নেয় বিসিবি।
মোহাম্মদ আশরাফুল: পারফরম্যান্সের চাপ সামলাতে না পেরে বিদায়।
সাকিব আল হাসান: দু’দফা টেস্ট নেতৃত্ব, একবার বোর্ড বাদ দিয়েছে, দ্বিতীয়বার আইসিসি নিষেধাজ্ঞায় থেমে গেছেন ১৪ ম্যাচেই।
মুশফিকুর রহিম: টেস্টে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক (৭ জয়), তবু সমালোচনায় বিদায়।
মুমিনুল হক: ১৭ ম্যাচ, নিজে পারফর্ম না করতে পেরে দায়িত্ব ছাড়েন।
মাহমুদউল্লাহ: মাত্র ৬ ম্যাচে নেতৃত্ব, ছিল না কোনো আলাদা ছাপ।
নাজমুল শান্ত: তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক থেকে তিন ফরম্যাটেই সরিয়ে দেওয়া হলো এক বছরের মধ্যে।
নতুন নাম মেহেদী হাসান মিরাজ?
ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ হতে পারেন টেস্টে নতুন নেতা। তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন টেস্টে ২ ম্যাচেও। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—পারবেন কি তিনিও এই বৃত্ত ভাঙতে? নাকি তিনিও যুক্ত হবেন ‘এলেন-গেলেন’ তালিকায়?
