চিয়া বীজ না পাতিলেবুর জল—সকালে কোনটি বেশি উপকারী?

সকালের শুরুটা স্বাস্থ্যকরভাবে করতে চান? অনেকেই দিন শুরু করেন খালি পেটে এক গ্লাস চিয়া বীজ ভেজানো জল অথবা গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?
পুষ্টিবিদদের মতে, উভয় পানীয়রই রয়েছে বিশেষ পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে ব্যক্তি বিশেষের শরীর, পুষ্টি প্রয়োজন এবং খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী একটির উপযোগিতা অন্যটির চেয়ে বেশি হতে পারে।
চিয়া বীজের জলের উপকারিতা:
চিয়া বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, যা রক্তচাপ ও শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
শুধু তাই নয়, প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া বীজে থাকে প্রায় ১৬.৫ গ্রাম প্রোটিন, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অযথা খিদে লাগা কমায়। এছাড়া, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বয়সজনিত ক্ষয় রোধে কার্যকর।
পাতিলেবুর জলের উপকারিতা:
পাতিলেবুর মধ্যে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি থাকায় এটি হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার ও অ্যাসিড চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে, এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী।
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর গঠনে বাধা দেয়, পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ও দাঁতের পরিচর্যায় সহায়তা করে।
চিয়া বীজ বা পাতিলেবুর জল—উভয়েরই রয়েছে নিজস্ব গুণাগুণ। তবে কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন চিয়া বীজ বেশি খেলে কিছু মানুষের পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি হতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত লেবুর রস দাঁতের এনামেলের ক্ষয় ঘটাতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়েট ও শারীরিক প্রয়োজন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। কেউ চাইলে প্রয়োজনে দুটিই গ্রহণ করতে পারেন, তবে সঠিক পরিমাণ ও সময় মেনে।