দিনভর ঝিমুনি আর ক্লান্তি? জীবনযাত্রায় এই পাঁচটি বদলেই আসতে পারে পরিবর্তন

ঘুম থেকে উঠতেই মন চায় না। দিনভর ঝিমুনি, ক্লান্ত শরীর—আলসেমিতে ভর করে কাটে প্রতিটি মুহূর্ত। অথচ সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন শক্তি ও উদ্যম। এমন সমস্যা বহু মানুষই প্রতিদিন অনুভব করেন। এর পেছনে গুরুতর কোনো শারীরিক অসুস্থতা নাও থাকতে পারে—কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসই এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, কয়েকটি অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলেই বদলে যেতে পারে শরীরের এই অবসাদগ্রস্ত অবস্থা।
১. ঘুম: পর্যাপ্ত না হলে ক্লান্তির শুরু এখানেই
রাতের ঘুম কম হলে দিনভর ঝিমুনি স্বাভাবিক। অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভিতে অতিরিক্ত সময় কাটান। এতে শরীর ও মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। ঘুম কমে গেলে বিপাকক্রিয়া ও হরমোনের ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষজ্ঞরা তাই প্রতি রাতেই অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন।
২. পানি: হালকা ডিহাইড্রেশনেও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে
প্রচুর কাজের চাপে পানি খাওয়া ভুলে যান? মনে রাখুন, শরীরের প্রতিটি শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। পানি বা অন্যান্য তরল খাবার কম খেলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, এমনকি মনোযোগ কমে যাওয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই নিয়ম করে পানি পান করুন।
৩. প্রাতরাশ: না খেলেই সমস্যা বাড়ে
সকালে সময়ের অভাবে অনেকেই প্রাতরাশ বাদ দেন, যা একদমই উচিত নয়। দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, এতে মনোযোগ ও শক্তি—উভয়ই কমে। তাই সকালের খাবারে সঠিক অনুপাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফাইবার থাকা জরুরি।
৪. শরীরচর্চা: ক্লান্তি কমাতে হালকা ব্যায়ামই যথেষ্ট
দেহচর্চা মানেই ভারী ব্যায়াম নয়। দিনে মাত্র ১০-১৫ মিনিট হাঁটা, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ কিংবা হালকা স্ট্রেচিং—এসবই শরীরের রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও মেটাবলিজম সক্রিয় করে। নিয়মিত শরীরচর্চা ঝিমুনি কাটাতে সাহায্য করে।
৫. বিরতি: টানা কাজ মানেই ক্লান্তি
দিনভর একটানা কাজ করলে শরীর ও মন—দু’টোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন। এমনকি কয়েকদিনের ছুটি নেওয়ার সুযোগ থাকলে কাজে ফিরে আসার পর মন ও শরীর উভয়ই চনমনে থাকবে।
ক্লান্তির পেছনে কোনো গুরুতর অসুখ না থাকলে, এমন দৈনন্দিন কিছু বদলে নিজেই ফেরাতে পারেন শরীরের কর্মক্ষমতা ও সতেজতা। ঝিমুনি দূর করতে ও শক্তিতে টগবগ করতে আজ থেকেই শুরু করুন এই পাঁচটি সহজ অভ্যাস।