কিশমিশের পানিতে আছে চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ, জানুন সঠিক খাওয়ার নিয়ম

শুকনো ফলের মধ্যে কিশমিশ অনেকেরই পছন্দের। এটি যেমন মুখরোচক, তেমনি স্বাস্থ্য উপকারিতায়ও অনন্য। শুধু খাবারে স্বাদ বাড়াতেই নয়, শরীরচর্চা ও সুস্থতার দিক থেকেও কিশমিশ বেশ কার্যকর। তবে অনেকেই জানেন না— কিশমিশের মতো এর পানিও দারুণ উপকারী। সঠিক নিয়মে কিশমিশের পানি পান করলে নানা শারীরিক সমস্যা থেকে মিলতে পারে স্বস্তি।
রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে ২০ মিনিট ধরে কিশমিশ ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই পানিটি সারারাত রেখে দিন। সকালে খালি পেটে পান করুন এই কিশমিশ-ভেজানো পানি।
উপকারিতা:
১. কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি
নিয়মিত কিশমিশের পানি পান করলে হজমে সহায়তা হয়, দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির সমস্যা। শরীরের ক্লান্তিও অনেকটা কমে যায়।
২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কিশমিশের পানিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৩. ত্বকের বলিরেখা রোধে কার্যকর
এতে রয়েছে প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড, যা ত্বকের বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে। বলিরেখা হ্রাস পায় এবং ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল।
৪. হজমশক্তি বাড়ায়
নিয়মিত এই পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে। বিশেষ করে যাদের হজমে জটিলতা আছে, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
৫. লিভার ও মেটাবলিজমের উন্নতি
কিশমিশের পানি লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং শরীরের বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) স্বাভাবিক রাখে।
পরামর্শ:
এই পানীয় সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। তবে যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তারা এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।