কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ, ভিডিও ভাইরালে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক তরুণীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ওই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আর ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে, বসতঘরে ঢুকে এক ২৫ বছর বয়সী নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ধারী সুমন ও তার সহযোগীরা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করেন।
পরদিন (শুক্রবার) দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলায় স্থানীয় যুবক ফজর আলীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে স্পষ্টত দেখা যায় নির্যাতনের নির্মমতা। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। রোববার সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন,
“ধর্ষণ একটি ভয়ানক অপরাধ। কিন্তু এই দেশে এটি যেন স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে গেছে। মানুষ তখনই প্রতিবাদ করে, যখন কোনো ভয়ানক ঘটনা ভাইরাল হয়।”
তিনি আরও বলেন, যারা ভিডিওটি ছড়িয়ে দিয়েছে, তারা নিজেরাও অপরাধী এবং তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনায় অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি, ভুক্তভোগীর গোপনীয়তা রক্ষা করাও অত্যন্ত জরুরি। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় মানসিক নির্যাতনের শিকার হন ভুক্তভোগী। এটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।