সাকিবের ‘না’ বলার পর থেমে যায় সিনেমা: ১২ বছর পর নির্মাতার আক্ষেপ

১২ বছর আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে অতিথি চরিত্রে নিয়ে শুরু হয়েছিল একটি সিনেমার শুটিং—নাম ছিল ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’। কক্সবাজারে ১০ দিনব্যাপী শুটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাঝপথে সাকিব বেঁকে বসেন। কাজ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ফিরে যান। এরপর আর কখনো ছবিটি শেষ হয়নি।
সম্প্রতি এই ছবি নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন পরিচালক ও প্রযোজক রাজিবুল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, সাকিবের আচরণ ও সিদ্ধান্তের কারণেই সিনেমাটি শেষ করা সম্ভব হয়নি।
শুটিং চলছিল, কিন্তু...
পরিচালক জানান, “সাকিব ফুজি ফিল্মস বাংলাদেশ-এর শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমেই তিনি সিনেমায় যুক্ত হন। চুক্তি অনুযায়ী ৮ দিনের সময় দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিই, শিডিউল ঠিক করি। সাকিব আনন্দ নিয়েই কাজ করছিলেন। কিন্তু যেই না সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ পেল, তিনিই শুটিং বন্ধ করে দেন।”
সিনেমার কাজ নিয়ে সাকিবের আচরণ পরিচালককে চরম বিপদে ফেলে। রাজিবুল বলেন, “সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সাকিব জানালেন, তিনি আর শুটিং করবেন না। বোঝানোর চেষ্টা করেও রাজি করাতে পারিনি। উল্টো সিনেমায় কাজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এতে শুধু শুটিং বন্ধ হয়নি, প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতিও হয়।”
ফুজি ফিল্মসের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি
পরিচালকের দাবি, এ ঘটনার পর ফুজি ফিল্মস-এর সঙ্গেও সাকিবের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠানটি পরে রাজিবুলকে অনুরোধ করে, যেন সাকিবের অংশ বাদ দিয়ে সিনেমাটি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু নির্মাতা সেই পথে হাঁটেননি।
“আমি বিশ্বাস করি, একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না,” — বলেন রাজিবুল।
১২ বছর পর কেন প্রকাশ্যে?
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এত দিন পর কেন এ বিষয়টি সামনে আনলেন পরিচালক? উত্তরে তিনি বলেন, “বাসায় পুরোনো হার্ডডিস্ক খুঁজতে গিয়ে ছবিটির রেকর্ডিং চোখে পড়ে। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আমি মনে করি, সাকিবের সিদ্ধান্ত তখন ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য একটি শিল্পপ্রয়াস থেমে যায়। তাই আমি সামাজিক মাধ্যমে বিস্তারিত জানাচ্ছি।”
তিনি জানান, ছবিটিতে মেঘলা মুক্তা, অর্ণব অন্তুসহ আরও কয়েকজন অভিনয় করেছিলেন। ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’ নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০১২–১৩ সালের দিকে।
চুপ সাকিব
এ বিষয়ে সাকিব আল হাসান এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
