অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: বয়স ৫০, সৌন্দর্য এখনো চিরতরুণীর মতো!

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—হলিউডের অন্যতম আইকনিক নাম। বয়স ৫০-এর ঘরে পা রেখেছেন তিনি, কিন্তু তাকালেই বোঝা দায়! বয়সের ছাপ নয়, বরং যেন সময় তাকে ছুঁতেই ভয় পায়। এখনো যখন তিনি রেড কার্পেটের লাল গালিচায় হাঁটেন, ক্যামেরা তার দিকে ঘুরে যায়, ফ্ল্যাশ জ্বলে ওঠে, আর ভক্তদের ভিড় থেকে শোনা যায় উচ্ছ্বসিত চিৎকার।
কেবল রূপ নয়, জোলি তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন শক্তিমান অভিনেত্রী হিসেবে। থ্রিলার থেকে অ্যাকশন, রোমান্স থেকে যুদ্ধ—প্রতিটি চরিত্রে তিনি ভাঙেন ধাঁচ, গড়েন নিজস্বতা।
সৌন্দর্য নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি জোলি
বয়স ৫০ পেরিয়েও জোলির সৌন্দর্য এতটাই অবিকল ও সতেজ যে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন—"এই সৌন্দর্য কি প্রকৃত, নাকি প্লাস্টিক সার্জারির অবদান?" জোলি অবশ্য বহুবার এই ধরনের গুজব সরাসরি অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য—
“আমি কিছু করিনি এবং আমার মনে হয় না আমি করব। এসব করার কোনো পরিকল্পনাও নেই।” (সূত্র: ডেইলি মেইল)
তবুও, সাম্প্রতিক এক ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে প্লাস্টিক সার্জন ড. জনি বেটেরিজ দাবি করেন, জোলি তার চোখ, ঠোঁট, চিবুক ও গালের হালকা হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁর মতে, এই পরিবর্তনগুলো এতটাই সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত যে সেগুলো প্রায় প্রাকৃতিক বলেই মনে হয়।
তবে অভিনেত্রী নিজে এই প্রসঙ্গে বরাবরই নিরুত্তর থেকেছেন—শুধু একবার ব্রিটিশ ভোগ-কে বলেছেন,
“আমি বয়স বাড়াতে ভালোবাসি। এটা আমার কাছে জয়ের মতো অনুভূতি।”
জীবনদর্শনেই লুকিয়ে আছে সৌন্দর্যের রহস্য?
জোলি সব সময়ই ছিলেন একজন আত্মবিশ্বাসী নারী। হয়তো সৌন্দর্যের গোপন রহস্য কোনো কসমেটিক নয়, বরং তার মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। তার কথায়—
“আমার মা খুব বেশি দিন বাঁচেননি। তাই বয়স আমার কাছে দুঃখ নয়, বরং এক ধরনের অর্জন।”
ফিরে আসছেন ‘সল্ট’ হয়ে
বর্তমানে জোলি ব্যস্ত রয়েছেন ‘সল্ট-২’ সিনেমার কাজে। ২০১০ সালের জনপ্রিয় থ্রিলার সল্ট–এর সিক্যুয়াল এটি। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় একজন কেজিবি স্লিপার এজেন্ট হিসেবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথমত টম ক্রুজকে নিয়ে লেখা স্ক্রিপ্ট শেষ পর্যন্ত কেবল জোলির জন্যই পুরোপুরি রূপান্তরিত হয়েছিল।
‘সল্ট-২’–এর মাধ্যমে হয়তো আবারও দেখা যাবে সেই পুরনো জোলির ঝলক—যার সৌন্দর্য নয়, দক্ষতাই আসল পরিচয়।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আসলে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নয়, তিনি হলেন আত্মবিশ্বাস ও সময়কে জয় করার প্রতীক। বয়স তাকে ধরা দেয় না, বরং জয়ের মুকুট এনে দেয়।
