জুলাই গণহত্যার বিচারকে নতুন গণতন্ত্রের প্রথম মাইলফলক বলছে জামায়াত

নতুন ফ্যাসিবাদের উত্থান ঠেকাতে এবং টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারকে প্রথম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
‘জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, "জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে ঠিকই, তবে এখনও সব অপরাধী ধরা পড়েনি। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে, নাহলে ভবিষ্যতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।"
তিনি বলেন, আহত ও পঙ্গুদের পুনর্বাসন, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিতে হবে। পাশাপাশি, জনগণের ঐক্য ও সচেতনতাই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম শক্তি—এটাই ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের শিক্ষা।
টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ—বিচার, আইন ও নির্বাহীকে স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক করার ওপর জোর দেন তিনি। দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অযোগ্যতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থরক্ষার ভিত্তিতেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চলবে। সীমান্ত হত্যা, ট্রানজিট ও করিডোরের মতো ইস্যুতে কোনো আপস নয়। দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে তা প্রত্যাখ্যান করাও জরুরি।"
তিনি নৈতিক শিক্ষা, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি, উৎপাদনমুখী শিক্ষা ও রাষ্ট্রীয় ভারসাম্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "নির্বাচনের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় কাঠামো গঠন অপরিহার্য। রাজনৈতিক সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্যই পারে নতুন ফ্যাসিবাদের উত্থান রোধ করতে।"