১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বিপুল শূন্য পদ, মাত্র ৪১ হাজার সুপারিশপ্রাপ্ত!

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন করেছিলেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন প্রার্থী। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ পেয়েছেন মাত্র ৪১ হাজার জন। কিন্তু সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮২২টি, ফলে প্রায় ৬০ হাজার পদ খালি থেকে যাচ্ছে।
প্রিলিমিনারি থেকে মৌখিক পরীক্ষায় ধাপে ধাপে ঝরে পড়া
১. প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন, উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।
২. লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন, উত্তীর্ণ হন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন।
৩. মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন, শেষ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, নিয়োগের শর্ত পূরণ না হওয়ায় এবং প্রার্থীরা যে বিষয়ের জন্য আবেদন করেছেন সেখানে পদ খালি থাকায় প্রায় ২০ হাজার উত্তীর্ণ প্রার্থীকে সুপারিশের তালিকায় রাখা হয়নি।
এনটিআরসিএর যুগ্ম সচিব ইরাদুল হক বলেন, “আমরা যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছি না। ইবতেদায়ি মৌলভি পদে প্রায় ৮ হাজার শূন্য পদ আছে, উত্তীর্ণ মাত্র ৯০০ জন; চারু ও কারুকলা সহকারী শিক্ষক পদে শূন্য ৯ হাজার, উত্তীর্ণ মাত্র ৫০০ জন।”
শিক্ষাবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষার মান ও শিক্ষকের যোগ্যতা নিশ্চিত না হলে প্রতি বছরই পদ খালি থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, “১ লাখ ৮২২টির বিপরীতে মাত্র ৪১ হাজার জন সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় শিক্ষার মান ও শিক্ষক তৈরি প্রক্রিয়ায় বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।”
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, পরবর্তী নিবন্ধন পরীক্ষা ও বিশেষ নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পদগুলো পূরণের চেষ্টা চলবে। পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কারের সুপারিশও প্রস্তুত করা হচ্ছে।