বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনও স্থিতিশীল নয়!

বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম অর্ধেকে নেমে আসলেও বাংলাদেশে চাল, তেল, চিনি ও জ্বালানিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম এখনও উর্ধ্বমুখী। আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় স্বস্তি আসছে না।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম এক বছরে প্রায় ৩৮ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৩৮১ মার্কিন ডলারে নেমেছে। অথচ বাংলাদেশে মে মাসের শেষে কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকা থাকলেও এখন তা ৫৫-৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছর ১৪ লাখ টন চাল আমদানি করলেও বাজারে তার কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।
বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম ২০২২ সালের ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৃদ্ধি পেলেও পরে অনেক দেশে তা দ্রুত কমেছে। তবে বাংলাদেশে নীতিগত দুর্বলতা ও বাজার তদারকিতে ফাঁক থাকায় মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শ্রীলঙ্কায় দেউলিয়া হওয়ার পর মূল্যস্ফীতি ঋণাত্মক অবস্থায় নেমেছে। পাকিস্তানে এক বছরের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ থেকে নেমে প্রায় ৪ শতাংশে, ভারতে ১.৫৫ শতাংশে এবং নেপালে ২.৭২ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশে জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৮.৫ শতাংশের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দুই প্রধান পদক্ষেপ নিতে হবে—সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে কম দামে খাদ্য সরবরাহ বাড়ানো এবং বাজারে তদারকি জোরদার করা।