রাজধানীর সবজি বাজারে দামের আগুন, ক্রেতাদের পকেট পুড়ছে!

রাজধানীর সবজি বাজার এখন ক্রেতাদের কাছে যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতি কেজি সবজির দাম ক্রমশ বাড়ছে, ৮০–১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা এই দামের চাপের মধ্যে পকেট সংকোচ অনুভব করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০–১২০ টাকায়, শসা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০–৯০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, পটল ৮০–৯০ টাকা, বরবটি ১০০–১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকায়। বেগুনের দামও বৃদ্ধি পেয়ে ১৪০–১৫০ টাকা (গোল) ও ৮০–১০০ টাকা (লম্বা) হয়েছে।
গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে সবজির দাম সর্বাধিক দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, পটলের দাম গত বছর ছিল ৩০–৫০ টাকা, বরবটি ৫০–৮০ টাকা এবং বেগুন ৬০–১০০ টাকা।
দামের বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বর্ষার কারণে সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, সরবরাহের ঘাটতি এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধি। এছাড়া পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে হাতবদল ও ফি আদায় দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।
রাজধানীর ক্রেতারা দামের এই তীব্রতায় হতাশ। রামপুরা বাজারের সজিবুল ইসলাম বলেন, “৮০–১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতার জন্য সবজি কেনা এখন দুঃসাধ্য।”
বাজারের বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা পর্যায়ে আসার পর দাম বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আবহাওয়ার কারণে নতুন সবজি বাজারে আসতে দেরি হয় এবং এই সময়ে সবজির মৌসুমও প্রায় শেষ। সব মিলিয়ে ক্রেতাদের বাজারে সবজি কেনার জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন বলেন, “পাইকারি বাজারে যে দামে সবজি আসে, খুচরা পর্যায়ে তার চেয়ে অনেক বেশি বিক্রি হয়। সরবরাহ কম এবং চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়ে যাচ্ছে।”