ডিএসইতে শেয়ারের দাম বেড়েছে, বাজার মূলধন কমেছে!

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজার মূলধন কমেছে। বড় মূলধনী কোম্পানির দরপতনের কারণে বাজার মূলধন কমলেও, সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিস্তারিত পর্যালোচনা:
১. লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে ২৪১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১২৯টির দাম কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
২. বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বা ০.৪৯% কমে ৭ লাখ ৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে এটি ছিল ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।
৩. ঈদুল ফিতরের পর পতনের মধ্যে থাকা বাজার ঈদুল আজহার আগে ঘুরে দাঁড়ালে টানা দুই সপ্তাহ ধরে আবারও বাজার মূলধন কমছে। তবে একই সময়ে সূচক এবং লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
সূচক ও লেনদেনের তথ্য:
১. ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৪.৭১ পয়েন্ট বা ০.৪৬%।
২. ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৫.৬২ পয়েন্ট বা ০.৭৫%, এবং শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১৭.১৭ পয়েন্ট বা ১.৪৮%।
৩. গড়ে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৯০৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩১.৬২% বেশি।
শীর্ষ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান:
১. বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন – গড়ে ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লেনদেন
২. বেক্সিমকো ফার্মা – ২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা
৩. ওরিয়ন ইনফিউশন – ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা
অন্য শীর্ষ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান: সিটি ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সোনালী পেপার, মালেক স্পিনিং, টেকনো ড্রাগস, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং।
পিই রেশিও ও খাতভিত্তিক বিশ্লেষণ:
১. ডিএসইর সার্বিক পিই রেশিও সামান্য কমে ১০.২৩ থেকে ১০.২১ পয়েন্টে নেমেছে।
২. খাতভিত্তিক পিই রেশিও:
৩. জ্বালানি ও বিদ্যুৎ: ৬.১৮
৪. ব্যাংক খাত: ৬.৫১
৫. টেক্সটাইল: ১১.২১
৬. ওষুধ ও রসায়ন: ১১.২৫
৭. টেলিযোগাযোগ: ১৪.৪৭
৮. আইটি: ১৬.৯৫
৯. খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত: ২১.২৮
১০. সিরামিক খাত: সর্বোচ্চ ৫৭.১৩
বিশ্লেষক মন্তব্য:
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার মূলধনের এই কমতি বড় মূলধনী কোম্পানির দরপতনের কারণে হলেও, সূচক এবং লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে যে বিনিয়োগকারীরা এখনও সক্রিয়। পিই রেশিও সামান্য কমলেও খাতভিত্তিক পারফরম্যান্সে সমন্বয় লক্ষ্য করা গেছে