ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে বিতর্কে বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুল ইসলাম

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গভর্নরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ভিডিওগুলো এমন এক সময়ে ভাইরাল হয়েছে, যখন সম্প্রতি পরিবহন ব্যবসায়ী খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক হিসাব থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন শাহীনুল ইসলাম।
গত বছরের নভেম্বরে দুদকের আবেদনে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের নামে থাকা ৫০টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়েছিল। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহে থাকা চারটি হিসাব পুনরায় ফ্রিজ না করায় তিনি ১৯ কোটি টাকা তুলতে সক্ষম হন।
দুদকের অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে এই টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে আরও জানা যায়, ফ্রিজ করা হিসাবে আসলে ১০১ কোটি টাকা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ভিডিওগুলো হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে এবং সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পর এ বছরের জানুয়ারিতে এএফএম শাহীনুল ইসলামকে বিএফআইইউ প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে গভর্নরের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সুপারিশে তার নাম ছিল না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে নিয়োগ দেয়—যা নিয়েও শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল।