রাবিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র-জনতার বিজয় র্যালি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪ সালের ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’ বার্ষিকী উপলক্ষে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি বিনোদপুর হয়ে তালাইমারি মোড় থেকে ঘুরে এসে জোহা চত্বরেই শেষ হয়।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর,শিক্ষক,কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ছোট ছোট র্যালি করে জোহা চত্বরে জড়ো হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত মূল র্যালিতে অংশ নেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এক বছর আগে যে উদ্দীপনা ও প্রত্যাশা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল, তা আমাদের সামনে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছিল। এখন সময় এসেছে আত্মবিশ্লেষণের—আমরা আসলে কতটা এগিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই বিজয় র্যালি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। এই ঐক্য বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, আমরা তখন যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা নিয়ে আজ পর্যালোচনার সময়। দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অনেক প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন,আজকের দিনে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করার কথা থাকলেও সেটি এখনও প্রকাশিত হয়নি। শহীদদের বিচারের অগ্রগতিও প্রায় স্থবির।
র্যালিতে অংশ নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই—এই দেশে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আসার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করাও আমাদের প্রধান লক্ষ্য।জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের জনগণ যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছিল, সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়নে আমাদের লড়াই চলবে।
উল্লেখ্য , বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ থেকে শুরু করে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ এই বিজয় মিছিলে অংশ নেয়।