মহেশপুরে মানহানির অভিযোগ এনে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা সমন্বয়কের

ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রকাশিত দুটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হামিদুর রহমান রানা। রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে মহেশপুরের আদর্শ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে হামিদুর রহমান রানা বলেন, গত ২৯ জুলাই জাতীয় দুটি দৈনিকে তার বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, সংবাদটিতে তাঁর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে এবং এটি একটি কুচক্রী মহলের সাজানো অপপ্রচার।
রানা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চারতলা বাড়ি নির্মাণ, জমি কেনা, সীমান্তে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, সরকারি প্রকল্প থেকে কমিশন গ্রহণ, সরকারি কর্মকর্তাকে ভয়ভীতি দেখানো এই ধরনের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
তিনি আরো বলেন, "আমার নামে ৯ শতক ভিটা ছাড়া কোনো জমি নেই। আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বৈধ টাকায় কেনা, যার ৮২ হাজার টাকা এখনো বাকি রয়েছে। খান মোটরসের ক্যাশ মেমো এবং প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।"
সংবাদ সম্মেলনে রানা বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি মসজিদে ইমামতি করে আসছি। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি আমার চরিত্র সম্পর্কে ভালো করেই জানেন।" তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমার হাতে এখন যে ভাঙা মোবাইলটি আছে, সেটাই একমাত্র ফোন। প্রতিবেদনে আমার কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি, যা সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালারও পরিপন্থী।”
রানা আরো জানান, "তিনি উক্ত দুটি দৈনিকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও তিনি অভিযোগ জানাবেন। সীমান্ত অপরাধের অভিযোগে ঝিনাইদহ সেনানিবাসের কমান্ডারের নিকটেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানান।"
তিনি সংশ্লিষ্ট সংবাদদাতা ও গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশিত সংবাদ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং সংশোধনের দাবি জানান। সেই সঙ্গে দোষী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে রানা বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে প্রমাণ দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। আমি এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি।"