এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ভিডিওতে রাজনৈতিক প্রচার, বিভ্রান্তির আশঙ্কা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)–নির্ভর কিছু ভিডিও নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘ডিসমিস ল্যাব’ নামের একটি গবেষণা সংস্থা জানায়, গত ১৮ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সময়কালে তারা ৭০টি এআই ভিডিও বিশ্লেষণ করেছে, যার প্রতিটিই বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, বাজারফেরত সাদা শাড়ি পরা এক নারী একটি দলকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। আরেকটিতে বিকিনি পরা নারী একই দলের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন—যা ওই দলের ভাবমূর্তির জন্য বিব্রতকর।
ভিডিওগুলো অধিকাংশই তৈরি করা হয়েছে গুগলের নতুন টুল ‘Veo-3’ দিয়ে। এগুলো এতটাই নিখুঁত যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো যে ভুয়া—তা বোঝা কঠিন।
বিশেষজ্ঞ রুম্মান চৌধুরী বলেন, ‘‘এই ভিডিওগুলো প্রচলিত ডিপফেকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। কারণ, মানুষ এগুলোতে কম সতর্ক থাকে।’’
ডিসমিস ল্যাবের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব ভিডিওর ভিউ সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ এবং রিঅ্যাকশন ১০ লাখের বেশি।
প্রাথমিকভাবে এসব প্রচারের সূচনা জামায়াত সমর্থকদের মাধ্যমে হলেও পরে বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগপন্থী সমর্থকরাও যুক্ত হয়েছেন বলে গবেষণায় উল্লেখ রয়েছে।
ঢাবির তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘‘এই ধরনের ভিডিও শুধু বিভ্রান্তি নয়, আইনশৃঙ্খলাজনিত অস্থিরতাও তৈরি করতে পারে।’’
তিনি নির্বাচন কমিশনকে এআই মনিটরিং সেল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া সচেতনতা তৈরির জন্য রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি সংস্থার এগিয়ে আসার কথাও বলেন।