জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি : শহীদদের সঠিক মর্যাদা দেওয়ার প্রত্যয় বিএনপির

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে চাই। এই জুলাই-আগস্টেই তাদের সম্মান জানাতে হবে।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভা ও বিশেষ অনুষ্ঠানের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী জানান, ১ জুলাই সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আয়োজনে। অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
তিনি বলেন, “আমরা ১ জুলাইকে কেন্দ্র করে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। যারা গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাতে হবে।” এ কর্মসূচিকে সার্থক করতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভেন্যু পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
রিজভী আরও বলেন, “আমাদের অর্থনীতি ও সমাজ সংকটে আছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বিচার ব্যবস্থা—সবকিছু পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার কমছে, দুর্নীতি ও মব কালচারে দেশ বিপর্যস্ত।” নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে আমরা সমালোচনা করবই, তবে তা যুক্তিসঙ্গতভাবে।”
বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “জুলাই বিপ্লবকে স্মরণীয় করতে মাসব্যাপী কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই শেখ হাসিনার বিচার দৃশ্যমান হবে এবং জনগণের ভোটে গঠিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে।”
তিনি জানান, বিএনপি শহীদ ও আহত পরিবারের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতে একটি কমিশনের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করবে।
অনুষ্ঠান পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, এবং কেন্দ্রীয় নেতারা—হাবিবুর রশিদ হাবিব, ড. মাহদী আমিন, ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফারজানা শারমিন পুতুল প্রমুখ।