দেশবাসীর প্রাধান্য: প্রধানমন্ত্রী পদে দুই মেয়াদের বেশি থাকা উচিত নয়

দেশের জনগণের বৃহত্তর অংশ মনে করেন, একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা উচিত নয়। নাগরিক সংলাপ ও ৬৪ জেলা জুড়ে সুজন কর্তৃক পরিচালিত জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ এমন মত পোষণ করেছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে জাতীয় কমিটির সদস্য মো. একরাম হোসেন জানান, জনগণ ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদী নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা চান, প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন ব্যক্তি অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন না করে, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নারী ৩৩৫ জন, পুরুষ ১,০৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন। তরুণ ও মধ্যবয়সি উভয় শ্রেণি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিতকরণের পক্ষে। শহরাঞ্চলের জনগণ এই প্রস্তাবকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন, তবে গ্রামীণ এলাকা থেকেও সমর্থন নজরকাড়া।
সুজনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জনগণ মনে করছেন দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। একাধিক মেয়াদে একই নেতা থাকলে নীতি প্রণয়ন ও প্রশাসনে পক্ষপাতিত্ব, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ নতুন নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী নীতি প্রবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
সংলাপ ও জরিপের মাধ্যমে সুজন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, জনগণ একক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার পক্ষে। সুজন ইতোমধ্যেই এই ফলাফল প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং দলগুলোকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এটি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।