বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: সিইসি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ বিচারাধীন অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। আমরা সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলছে। তবে যদি আইন পরিবর্তন হয়, তখন অন্যরকম পদ্ধতিও হতে পারে।”
সিইসি জানান, সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।”
এ সময় তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপারের পদায়নে কোনো পরিবর্তনের চিন্তা নেই।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর গত ১২ মে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এর পরপরই নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে।