পরিবহন মালিকদের ৮ দফা দাবি

দাবিসমূহ:
১. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারাসহ সুপারিশকৃত অন্যান্য ধারাগুলো সংশোধন করা হোক।
২. বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ বর্তমানে ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হোক এবং সমস্যাগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএর অভিযান স্থগিত রাখার দাবি।
৩. বাজেটে দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর (প্রিজাম্পটিভ ইনকাম ট্যাক্স) কমিয়ে আগের মতো বহাল রাখা হোক।
৪. মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরানোর জন্য আমদানির সময়সীমা (রিকন্ডিশনড বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার) ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা হোক।
৫. দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়ার বিধান রাখা হোক।
৬. মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য একটি কার্যকর স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক।
৭. মহাসড়কে তিন চাকার যান (অটো-টেম্পো, অটোরিকশা) ও অনুমোদনহীন হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক লেন বরাদ্দ করা হোক।
৮. ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুত সরবরাহ করা হোক এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্য:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম জানান, আগামী ১৫ কার্যদিবসের (১১ আগস্ট পর্যন্ত) মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ১২ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার জন্য সব ধরনের বাণিজ্যিক পরিবহন বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এই সময়ে পরিবহন ধর্মঘট হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।