“বর্তমান কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চায় জনগণ”—রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “জনগণ প্রত্যাশা করে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি আস্থার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে। তারা যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করে এবং যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে।”
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে যান রিজভীর নেতৃত্বাধীন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখনো তারা ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়। বিএনপি বিশ্বাস করে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেই প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে।”
রিজভী আরও বলেন, “আগের ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু নির্বাচন নয়, গোটা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছিল, যারা দিনের ভোট রাতে করেছিল। কমিশন তখন শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, তারা নতুন ষড়যন্ত্র করতেই পারে। সরকারকে সে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।”
রিজভী জানান, ২০২৪ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা, ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। ফলে দলের হাতে রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
আয়ের উৎস হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান।” আর ব্যয়ের খাতে ছিল “ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহায়তা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট ও পোস্টার ছাপানো ইত্যাদি।”