সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে সরাসরি ৮ জনের তুহিন হত্যায় সম্পৃক্ততা, গ্রেফতার কয়েকজন!

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে আট জনের। শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন জিএমপি কমিশনার নাজমুল করিম।
কমিশনার জানান, হানিট্র্যাপ চক্রের অপকর্মের ভিডিও ধারণের কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রাথমিক তদন্তে শনাক্ত আট জনের মধ্যে গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১. প্রধান আসামি কেটু মিজান, যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে।
২. কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানিট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত।
৩. আল আমিন, যার নামে ২টি মামলা।
৪. স্বাধীন, যার নামে ২টি মামলা।
৫. শাহজালাল, যার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে।
৬. ফয়সাল হাসান
৭. সাব্বির, যার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া আরেক আসামি আরমান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
কমিশনার জানান, আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে, হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ অধিকাংশ প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্ট (পিএম) পাওয়া মাত্র দ্রুত চার্জশিট দাখিলের পরিকল্পনা রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের পর গাজীপুরে অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে, যা অপরাধ প্রবণতা বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলা হলেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে এখানে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে। তবে ফোর্সের সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন কমিশনার নাজমুল করিম।