গাজায় পাকিস্তানের ১৭তম মানবিক সহায়তা পাঠানো হলো

গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পাকিস্তান আজ ১০০ টন জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ১৭তম মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে এই সহায়তা পাঠানোর কার্যক্রম তদারকি করেন দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেনেটর মোহাম্মদ ইসহাক ডার।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খাদ্যপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধ। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের দুর্দশা লাঘবে এসব সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে পাকিস্তান সরকার।
চালান ছাড়ের অনুষ্ঠানে ইসহাক ডার বলেন, "পাকিস্তান সবসময়ই ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিল এবং থাকবে। গাজায় চলমান মানবিক সংকট গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এখনই সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার।"
তিনি আরও বলেন, "পাকিস্তান গাজায় স্থায়ী শান্তির জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়, যা হবে ১৯৬৭ সালের পূর্ব সীমান্ত ভিত্তিক দুই-রাষ্ট্র নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।"
উপপ্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করারও আহ্বান জানান।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তান কেবল ত্রাণ পাঠিয়েই থেমে থাকছে না; কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেও গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় রয়েছে। ভবিষ্যতেও ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদারে কাজ করে যাবে ইসলামাবাদ।