পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় মৃত্যু ৪৫ জনের, ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশিয়াও

পাকিস্তানে টানা মৌসুমি বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় কয়েক দিনের ব্যবধানে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, যেখানে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ১০ শিশু। স্বাত উপত্যকায় হঠাৎ বন্যার পানির তোড়ে নদীর ধারে বসবাসকারী বহু পরিবার ভেসে গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
পাঞ্জাব প্রদেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮ জন শিশু; তারা দেয়াল ও ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় প্রাণ হারায়। এছাড়া সিন্ধ ও বেলুচিস্তানে আরও অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করেছে, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি, দমকা হাওয়া, বজ্রঝড় ও হঠাৎ বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। ইসলামাবাদ, কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার পাহাড়ি ও শহুরে এলাকায় ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ সিন্ধ–এর করাচি, হায়দ্রাবাদ, ঠাঠা ও বাদিন শহরে ২ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা শহুরে বন্যার ঝুঁকি বাড়াবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় এমন চরম আবহাওয়া ও দুর্যোগের ঘটনা বেড়েই চলেছে। উপকূলীয় ও নদী অববাহিকার দেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা।
বন্যা গবেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময়, সমন্বিত দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।