ডাকসু নির্বাচন থেকে বাদ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে না, যদি তাদের আর ছাত্রত্ব না থাকে। নির্বাচনী আইন পরামর্শ অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন। ফলে এই শিক্ষাবর্ষের অনেক সাবেক শিক্ষার্থী ভোটার বা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, "সব ছাত্রসংগঠন এই সেশনকে নির্বাচনে রাখার দাবি জানিয়েছিল, আমরাও গুরুত্ব দিয়েছিলাম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী যাদের ছাত্রত্ব নেই, তাদের নির্বাচনে অন্তর্ভুক্ত করলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।"
ড. রব্বানী আরও বলেন, "আইনের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। যাদের ছাত্রত্ব নেই, তারা যদি অংশ নেয়, তাহলে যে কেউ আদালতে রিট করতে পারে, তাতে করে পুরো নির্বাচন স্থগিত হয়ে যেতে পারে।"
তবে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব এখনো বহাল, তারা যথারীতি প্রার্থী কিংবা ভোটার হিসেবে অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ, দীর্ঘ ২৮ বছর পর। ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রথমবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত করার দাবি জানিয়ে আসছিল ছাত্র সংগঠনগুলো।
তবে এবারকার নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রত্বের মেয়াদ, ভোটার তালিকা ও অংশগ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন বেশ আলোচিত। ডাকসু নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে— ছাত্রত্বই হবে নির্বাচনী যোগ্যতার মূল মাপকাঠি।