উৎসুক জনতার কারণে প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়েছিল: আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজ সংলগ্ন স্থানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতার ভিড় ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হলে শিশুসহ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আইএসপিআর জানায়, উদ্ধারকাজ চলাকালে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় বেড়ে যায়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে। সেনাসদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ স্থান ত্যাগ না করায় আহতদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে।
এই উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত ১৪ জন সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিকেলের দিকে কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল না ছাড়ায় সেনাসদস্যদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে পেশাদারিত্ব ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।