পাইলট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখা করছিল তানভীর, বিমান দুর্ঘটনায় অকালে মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কুলছাত্র তানভীরের আকাঙক্ষা ছিল পাইলট হওয়ার। স্বপ্ন আর পূরণ হলো কই! বিমান দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে গেল প্রাণ। টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে আজ সকাল ১০ টার দিকে তানভীরের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল তানভীর আহমেদ। সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শি ইউনিয়নের নগরভাত গ্রামের রুবেল মিয়া ও লিপি বেগম দম্পতির ছেলে।
নিহত তানভীরের চাচাতো ভাই সজিব জানায়, তার চাচা রুবেল মিয়া ও চাচি লিপি বেগম সন্তানকে ভালো লেখাপড়া ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য মাইলস্টোন কলেজে ভর্তি করেছিলেন। তার চাচা ঢাকায় ব্যবসা করেন। তানভীরের ছোট ভাই তাসবীর একই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে।
সজিব জানায়, তানভীরের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সে লক্ষ্য নিয়েই সে ব্যাপক লেখাপড়া করতো। ছুটিতে যখন গ্রামে আসতো, তখনও পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতো।
নিহত তানভীরের চাচাতো ভাই সজিব বলেন, চাচা-চাচি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য মাইলস্টোন কলেজে ভর্তি করেছিলেন। তানভীরের ছোট ভাই তাসবির একই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
তিনি আরও জানান, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে গ্রামে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় চারপাশের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
তানভীরের বাবা রুবেল মিয়া বলেন, তানভীর অষ্টম শ্রেণীতে ও ছোট ছেলে ইংলিশ ভার্সনে একই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তো। দুজন দুই ভবনে ক্লাস করতো। তানভীরের ছুটি হয় দুপুর ১ টায়, আর ছোটটার সাড়ে ১২ টায়। তানভীর কোচিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতো। তানভীর প্রথম শ্রেণীতে থেকে ক্লাসের প্রথম ছিল। সে ক্লাসের ক্যাপ্টেন ছিল। সবাইকে সারিবদ্ধভাবে নিচে নামাতে গিয়ে তানভীরের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে অনেক হতাহত হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
হুমাইরার দাদা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, এবার কুরবানি ঈদে দাদু এসেছিল। দাদু সারাক্ষণ আমার সঙ্গেই থাকত। দাদু আর কোনো দিন আসবে না। আর আমাকে দাদু বলবে না।
সোমবার বিমান দুর্ঘটনায় তানভীরের মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পরলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তার স্বজনদের কান্নায় চারপাশের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।