সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই: রিজভী

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিঃসন্দেহে একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে রিকশা ও ভ্যানচালকদের মধ্যে রেইনকোট বিতরণ করে জিয়া পরিষদ।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা কতখানি দ্বিচারী হতে পারেন— যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসে নিজেই সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। এটাই শেখ হাসিনা, যার কোনো ওয়াদা, কোনো অঙ্গীকার নেই।”
রিজভী বলেন, মানুষের প্রত্যাশা শান্তি ও স্বস্তি। সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও বাস্তবে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমলেও দ্রব্যমূল্য এখনও কমছে না, কর্মসংস্থান হচ্ছে না। একের পর এক কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “কর্মসংস্থান না থাকলে দুর্ভিক্ষের পতনধ্বনি শোনা যাবে। সরকারকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।”
রিজভী উল্লেখ করেন, জুলাই সদনের জন্য সুপারিশ আসবে, কিন্তু এর জন্য আইন ও সংবিধান সংশোধন করতে হবে—যা কেবল নির্বাচিত সংসদই করতে পারে। তিনি বলেন, “আগেভাগেই গণভোট দিতে হবে—এমন দাবি অযৌক্তিক। সংবিধানের মূল নীতিমালা অখণ্ড বিষয়। যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয়, সেটি করবে সংসদ।”
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে শেখ হাসিনার সময়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনার মতো পদ্ধতি আমরা ফের চালু করতে চাই না।”
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে আছে। “তারা সুযোগ পেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করবে। বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্যই তারা সচিবালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় আছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, মহাসচিব এমতাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।