স্বৈরাচার পতনের পর ভালো পরিবর্তনের জন্য বিএনপির ওপর নিরপেক্ষ মানুষের প্রত্যাশা বেশি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার পতনের পর দেশের ভালো পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন সবাই, কিন্তু নিরপেক্ষ মানুষদের মধ্যে বিএনপির প্রতি এই প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। তাই দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়ানো জরুরি।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করায় দেশের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক ভালো পরিবর্তন চায়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে এবং সামনের দিনগুলো আরও ভালো হওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছে। সেই কারণে নিরপেক্ষ মানুষরাও বিএনপির কাছ থেকে ভালো পরিবর্তনের প্রত্যাশা করে সবচেয়ে বেশি।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের ভীতকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী করতে হবে। সঠিক ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তুললে জবাবদিহিতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা সম্ভব।”
তিনি ৩১ দফা রাষ্ট্র পুনর্গঠনের পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। তারেক রহমান বলেন, “আড়াই বছর আগে বিএনপি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য করে এই সংস্কারের প্রস্তাবনা জাতির কাছে পেশ করেছিল। জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে সবাইকে নিয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”
সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তারেক রহমানকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন।
এছাড়া, ওষুধ নীতির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশের ওষুধ শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়েছে।