পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে ; প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা ও বিশৃখলা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার অপপ্রয়াস চলনো হচ্ছে, কী না-জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচার বিএনপিসহ সকলেই চায়। জনগণ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ অনুপস্থিত এবং রহস্যজনকও বটে।
শনিবার (১০ মে) বিকালে ময়মনসিংহের হলুয়াঘাট পৌর শহরের উত্তর বাজারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌর বিএনপির তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মী সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ব্যপক হত্যা, গুম, দমন, নীপিড়ন, ভোটাধিকারসহ জন অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার করে ফ্যসিবাদ কায়েম করেছিল শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। ছাত্র গণ-অভুত্থানে হাজার হাজার ছাত্র জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তারা গণশত্রুতে পরিনত হয়েছে। গণশত্রু ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতির চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পতনের ৯ মাস পার হলেও আওয়ামী লীগের কোনও পর্যায়ের নেতাকর্মীর কোন অপরাধবোধ বা অনুশূচনা নাই। উপরন্তু তারা সীমান্তের ওপর থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর আওয়ামীলীগের ফ্যসিবাদী দমন নিপিড়নের শিকার বিএনপি আওয়ামীলীগের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি জানিয়েছে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছে। এ জন্য আইন সংশোধনের কথাও বিএনপি বলেছে। কিন্তু আইনে মানবতাবিরোধী কাজের জন্য রাজনৈতিক দল বা সংগঠণের বিচারের বিধান প্রস্তাব থাকলেও উপদেষ্টা পরিষদ কেন সেই বিধান বাদ দিয়েছে, জনগণ তা জানতে চায়।
কিনি বলেন, আওয়ামীলীগের নিষিদ্ধের দাবীতে রাজপথে যারা আন্দোলন করছে, সেই এনসিপির প্রধান তখন উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধিরা এখনও উপদেষ্টা পরিষদে আছেন, তারা এর দায় এড়াতে পরে না। দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হলে জনগণই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিত। শাহবাগে যারা আন্দোলন করছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণও দৃশ্যত তাদের হাতে। এর জবাব তাদেরকেই দিতে হবে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী ফ্যসিবাদের প্রেসিডেন্ট, হত্যা মামলার আসামি কিভাবে বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে গেলো এবং ফ্যসিবাদের বিচার, সংস্কার, নির্বাচন দৃশ্যমান না হওয়ার দায় অন্তর্বর্তী সরকার ও এনসিপি এড়াতে পরে না।
তিনি পাড়া মল্লায়, অলিতে গলিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ছাত্র গণঅভুত্থান ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামতে হবে, সকল চক্রান্ত ব্যর্থ করে গণঅভুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ণ ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
হালুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, যুগ্ম-আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলমগীর আলম বিপ্লব, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান স্বাধীন, অনোয়ার হোসেন, তাজিকুল ইসলাম, মনির হোসেনসহ প্রমুখ।