মুড়ির উপকারিতা: স্বাদ ও স্বাস্থ্যের মিলন!

মুড়ি আমাদের অধিকাংশেরই প্রিয় নাস্তা। শুধু বাংলাদেশ বা ভারতে নয়, আমেরিকা, ইতালি, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের নানা দেশে মুড়ির (ইংরেজিতে পাফড রাইস) জনপ্রিয়তা রয়েছে। সকালে কিংবা বিকালে মুড়ি খাওয়ার মজা আলাদা, বিশেষ করে যখন সঙ্গে থাকে চানাচুর, মাংসের ঝোল, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ। আর এই স্বাদের সঙ্গে চায়ের আনন্দ তো কথাই নেই।
মুড়িতে পুষ্টিগুণ:
মুড়িতে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান যেমন ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামাইন। এগুলো শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
মুড়ির স্বাস্থ্যগুণাবলী:
১. গ্যাস ও পেটের সমস্যা দূরীকরণ:
মুড়ি পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেপটিক আলসারেও মুড়ি উপকারী। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
মুড়িতে থাকা ভিটামিন বি ও মিনারেলস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. বয়সের ছাপ কমানো:
মুড়িতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে, ফলে বয়সের ছাপ কমায়।
৪. ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো:
মুড়ির ইনসলিউবল ফাইবার ক্যানসারের কোষ ধ্বংসে সাহায্য করে এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ:
প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে মুড়ি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ কার্যকর।
৬. শক্তি যোগানো:
মুড়িতে থাকা শর্করা দৈনন্দিন কাজের জন্য শক্তি সরবরাহ করে।
৭. দাঁত ও হাড়ের যত্ন:
মুড়ি চিবানোর ফলে দাঁত-মাড়ির ব্যায়াম হয় এবং ক্যালসিয়ামের কারণে হাড় মজবুত হয়।
সুতরাং, সুস্বাদু এই মুড়ি শুধুই নাস্তা নয়, স্বাস্থ্যকরও বটে। নিয়মিত উপযুক্ত পরিমাণে মুড়ি খেলে শরীরও পাবে নানা উপকার।