নিয়মিত ব্যায়ামে সুস্থ দেহ, প্রফুল্ল মন!

শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই—শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, সবার জন্যই এটি জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুললে শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, অসুস্থতার ঝুঁকি কমে এবং সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে অন্তত ৩ ঘণ্টা হাঁটা, সাইক্লিং বা মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। ৪৪ বছর ধরে প্রায় ১২ হাজার মানুষের ওপর করা এক গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৮৮% পর্যন্ত কমাতে পারে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, ক্যালোরি পোড়ে, পেশি শক্তিশালী হয়, অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, মানসিক চাপ কমায়, ঘুমের মান উন্নত করে এবং মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সাধারণত ডাক্তাররা সপ্তাহে প্রায় ৩ ঘণ্টা মাঝারি বা দেড় ঘণ্টা তীব্র অ্যারোবিক ব্যায়ামের পরামর্শ দেন।”
যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত এপিডেমিওলজিস্ট টিম স্পেক্টরের মতে, ব্যায়াম হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও বিষণ্নতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
তাই দেহকে সুস্থ ও মনকে প্রফুল্ল রাখতে আজ থেকেই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।