সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় খুলছে ভারত–চীন

ভারত ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। নয়াদিল্লিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সফর শেষে এই ঘোষণা আসে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয় দেশ যত দ্রুত সম্ভব চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে এবং একটি নতুন বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ও অন্যান্য ভ্রমণকারীদের ভিসা প্রদানের সুবিধা সহজ করার বিষয়েও তারা একমত হয়।
ডোকলাম সীমান্ত সংকটের পর বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা দীর্ঘদিন স্থগিত থাকে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় দেশ লিপুলেখ পাস, শিপকি লা পাস এবং নাথু লা পাস এই তিনটি নির্ধারিত বাণিজ্য পয়েন্টের মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় খোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
এছাড়া সীমান্ত সংক্রান্ত ইস্যুতে অন্তত তিনটি নতুন প্রক্রিয়া স্থাপন করে কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে মোদি এক্স (টুইটার)-এ লিখেছেন— “ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীল, অনুমানযোগ্য, গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”
ওয়াং ই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, “ভারত-চীনের মধ্যে স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখা উভয় দেশের মূল স্বার্থে।” তিনি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও আলোচনায় ঐক্যমত্য গড়ে তোলার পাশাপাশি সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা তৈরির উপর জোর দেন।
২০১৭ সালে সংঘটিত ডোকলাম সীমান্ত বিরোধের পর থেকেই ভারত-চীনের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক দিল্লি বৈঠক ছিল দুই দেশের মধ্যে চলমান আলোচনার ২৪তম দফা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বৈঠকের অগ্রগতি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়া ও বৈশ্বিক রাজনীতির ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।