ভারতে স্বাধীনতা দিবসে মাংস নিষেধাজ্ঞা: বিতর্ক চরমে!

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের (১৫ আগস্ট) উপলক্ষে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌর কর্তৃপক্ষ কসাইখানা ও মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তকে সরাসরি মানুষের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিরোধী দল ও রাজনৈতিক নেতারা, যা তীব্র বিতর্কের সূত্রপাত করেছে।
হায়দরাবাদের এমপি ও অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “মাংস খাওয়া আর স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের মধ্যে সম্পর্ক কী? এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মানুষের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, জীবিকা, সংস্কৃতি, পুষ্টি ও ধর্ম পালনের অধিকার লঙ্ঘন করে।”
মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগর, থানের কল্যাণ-দোম্বিভ্যালি ও দিল্লি পৌরসভা স্বাধীনতা দিবসে মাংসের বিক্রয় ও কসাইখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মুম্বাইয়ের কাছে কল্যাণ-ডোম্বিওয়ালি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছে।
শিবসেনার নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে আমরা কী খাব, তা আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতা। পৌর কমিশনাররা আমাদের ঘরে কী থাকবে তা নির্ধারণ করতে পারেন না। বরং রাস্তায় গর্তের মতো সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, “বড় শহরে নানা বর্ণ ও ধর্মের মানুষ বসবাস করে। যদি বিষয়টি আবেগনির্ভর হয়, মানুষ হয়তো এক দিনের জন্য মেনে নেবে, কিন্তু জাতীয় দিবসে এই ধরনের আদেশ কঠিন হয়ে যায়।”
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা অংশের মুখপাত্র অরুণ সাওয়ান্ত দাবি করেছেন, “রাজ্য সরকার এ ধরনের মাংস নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেনি। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”
এ ঘটনার ফলে স্বাধীনতা দিবসের আনন্দমুখর আয়োজনের মাঝে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রশ্ন নতুন করে উথ্থিত হয়েছে।