দৈনন্দিন কলা খাওয়ার সঠিক পরিমাণ: সুগার রোগীদের জন্য নির্দেশনা!

কলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি ফল। এটি পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে কলার মধ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট যেমন গ্লুকোজ়, ফ্রুকটোজ় এবং সুক্রোজ় রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই সুগার রোগীদের ক্ষেত্রে কলা খাওয়ার পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ।
একটি প্রমাণ আকারের কলার মধ্যে প্রায় ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার মধ্যে ১৪–১৫ গ্রাম শর্করা। কলা পাকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, পাকা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) প্রায় ৫১, আর অতিরিক্ত পাকা হলে ৬২ পর্যন্ত হতে পারে।
পরামর্শ:
১. সুগার রোগীদের জন্য দিনে একটি কলা খাওয়া নিরাপদ, কারণ এটি শরীর ঠিকভাবে হজম করতে পারে।
২. একসঙ্গে দু’টি কলা খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে, যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
৩. কলা ছোট ছোট করে দিনে ভাগ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।
৪. পাকা কলার খোসায় যদি খয়েরি বা কালো দাগ কম থাকে, তাহলে GI কম থাকে এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি সীমিত হয়।
৫. কলার সঙ্গে বাদাম, চিয়া বীজ বা দই খাওয়াও রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
৬. সারসংক্ষেপে, সুগার রোগীরা সঠিক পরিমাণ ও পদ্ধতিতে কলা খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ছাড়াই উপকার পেতে পারেন।