পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকিতে পরবর্তী প্রজন্মও!

অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তাঁর পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকায় আগাম সতর্কতা হিসেবে দু’টি স্তন ও পরে ডিম্বাশয় ও ফ্যালোপিয়ান টিউব সরিয়ে নিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্মও ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
জাতীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ক্যানসারের অন্তত ৯–১০ শতাংশ বংশগত। জিনগত মিউটেশনের কারণে এই ধরনের ক্যানসার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়াতে পারে। বিশেষ করে স্তন, জরায়ু, কোলন, অগ্ন্যাশয়, রেটিনোব্লাস্টোমা ও মেলানোমা ক্যানসার বংশগত হতে পারে। ‘বিআরসিএ১’ ও ‘বিআরসিএ২’ জিন সক্রিয় থাকলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পরিবারে একাধিক ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে জিন পরীক্ষা করানো উচিত। কিছু রক্ত পরীক্ষাও ক্যানসারের সম্ভাবনা আগেভাগে ধরতে সাহায্য করে। যেমন:
১. সার্কুলেটিং টিউমার সেল টেস্ট (CTC)
২. ব্লাড কেমিস্ট্রি টেস্ট
৩. ইমিউনোফেনোটাইপিং
৪. লিক্যুইড বায়োপসি
৫. টিউমার মার্কার ব্লাড টেস্ট
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এসব পরীক্ষা করানো নিরাপদ। পাশাপাশি জীবনযাপনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও ঝুঁকি কমানোর পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।