রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্য ও জীবনধারা

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে সামান্য সংক্রমণেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুধু ওষুধ নয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের মাধ্যমে জীবাণু ও সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার, ধূমপান-অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
যে খাবারগুলো ইমিউন সিস্টেম বাড়ায়:
১. লেবু জাতীয় ফল: লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা—ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এসব ফল শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়ায় এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
২. আমলকী: লেবুর তুলনায় অনেক বেশি ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ; যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও চুল পড়া রোধে সাহায্য করে।
৩. কালিজিরা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। হাদিসে এসেছে, কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ (বুখারি: ৫৬৮৭)।
৪. মধু: প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল; গলা ব্যথা কমায়, শক্তি যোগায়, হজমশক্তি বাড়ায়।
৫. বাদাম: আমন্ড, আখরোট, কাজুবাদাম—ভিটামিন ‘ই’-এর ভালো উৎস, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৬. কুমড়োর বীজ: জিংক সমৃদ্ধ; ইমিউন সেলের বৃদ্ধি, ক্ষত সারানো ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
এছাড়া সব ধরনের শাকসবজি, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফেরমেন্টেড খাবারের সমন্বিত ডায়েট, সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমই দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।
সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা—এসবই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।