সুনামগঞ্জে আলোচনা: জলবায়ু পরিবর্তনে হাওরাঞ্চলে জীবন-জীবিকায় ঝুঁকি বাড়ছে

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নানাভাবে হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা, প্রকৃতি ও পরিবেশর ওপর পড়ছে। এতে ঝুঁিক বাড়ছে। তবে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই নয়, কিভাবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় সেই পথ খঁজতে হবে।
সুনামগঞ্জে ‘হাওরাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন: ঝুঁকি ও স্থানীয় অভিযোজন সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গত মঙ্গলবার দুপুরে এই আলোচনায় হয়। এতে হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন অংশ নেন।
সুনামগঞ্জে বেসরকারি সংস্থা এফোর্টস ফর রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট (ইরা) ‘উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী অভিযোজন প্রদর্শনী আয়োজনের অংশ হিসেবে এই প্রথম দিনে এই আলোচনা ছিল। এর আগে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী অভিযোজন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। পরে শহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব ও হাওরকৃষি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক। নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইদা সুলতানা, সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক ওমর ফারুক, জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুনা শাহীন আরা লেইস, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশের কর্মসূচি কর্মকর্তা আহসানুল ওয়হেদ, স্থানীয় বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার, প্রবীর সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সংস্কৃতিকর্মী দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী।
অধ্যাপক মোজাম্মেল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, "সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় এখন উজানের পাহাড়ি ঢল, বন্যা একটি বড় সমস্যা। হাওর নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মাছের উৎপাদন কমছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কৃষি উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। এখন বন্যা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। কৃষিতে যান্ত্রীকরণে জোর দিতে হবে। পরিকল্পিত ও পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন করতে হবে।"