বাগেরহাটে ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাশকতা মামলায় কারাগারে

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সোহেল মোল্লাকে একটি নাশকতা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গত বুধবার (১৩ আগস্ট ) দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অনুরোধ সত্ত্বেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তার সোহেল মোল্লা হিজলা গ্রামের কাওছার মোল্লার ছেলে এবং বিএনপির সক্রিয় কর্মী। তার বড় ভাই সাইফুল মোল্লা হিজলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সাইফুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “আমরা বিএনপি পরিবার। একটি হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে ও আমার ভাইসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিল। গতকাল আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রভাবে ডিবি পুলিশ রেলরোড এলাকা থেকে আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করে। পরে কৌশলে তাকে কচুয়া থানায় নিয়ে গিয়ে নাশকতা মামলায় আসামি দেখানো হয়। অথচ তিনি কখনো ওই এলাকায় যাননি।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই বিএনপির ত্যাগী কর্মী। উপজেলা ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা পুলিশকে ফোন করলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
কচুয়া থানা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী স্থানীয় বিএনপি নেতা মোতালেব সরদার, আর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তবে কেন অন্য উপজেলার বিএনপির এক নেতাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোহেলের স্বজনরা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম আহমেদ বলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদের মামলায় তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় সোহেল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নন।