হাওরাঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের তাগিদ: সুনামগঞ্জে কর্মশালা

আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতি নানা কারণে সংকটে আছে। এসবের যে অবস্থানগত যে দ্যোতনা রয়েছে, সেটি ভুলে গেলে চলবে না। তাই বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।
সুনামগঞ্জে 'হাওর এলাকার ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র অন্বেষণ' শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকেরা এই মত দেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিউটের উদ্যােগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিউটের পারিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনিস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনিস্টিটিউটের উপপরিচালক খিলফাত জাহান যুবাইরাহ।
কর্মশালায় 'সুনামগঞ্জের লোকসংস্কৃতির অনুসন্ধান' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর উল হায়দার, ' সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিয়ের গান ও ধামাইল নাচে নারীর জীবন' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রোখসান পারভীন চৌধুরী, লেখক-সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী উপস্থাপন করেন ' হাওরজনের কথা, ভাষা ও আশা' শীর্ষক প্রবন্ধ।
মুক্ত আলোনায় বক্তব্য দেন কবি ও লেখক ইকবাল কাগজী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর'র সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, লেখক সুবাস উদ্দিন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, লেখক-গবেষক এনামুল কবির, শিক্ষক কানিজ সুলতানা আজিজুর রহমান ও অনূপ নারায়ণ তালুকদার, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান পীর, সাংবাদিক- সংস্কৃতিকর্মী দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী প্রমুখ।
মুক্ত আলোচনায বক্তারা বলেন, "হাওর এলাকায় ভাষা ও সংস্কৃতির যে ঐতিহ্য রয়েছে সেটি ধরে রাখতে উদ্যােগ নিতে হবে। এগুলো যেন হারিয়ে না যায়। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে এই ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এতে শেকড়ের সন্ধান মিলবে।"