বাস কাউন্টার হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি, ৯ ঘন্টাপর বাস চলাচল শুরু

মাসকান্দা কাউন্টারে ভাংচুর ও লোটপাটের ৯ ঘন্টা পর ময়মনসিংহের সাথে ঢাকাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাথে বাস সাথে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। একই সাথে মাসকান্দা কাউন্টারে ভাংচুর ও লোটপাটের ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত ১০ টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পুর্বধলা, কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১ টায় নগরীর ঢাকা বাসস্টেন্ডের কাউন্টার ভাংচুর ও লোটপাট করে দুর্বৃত্তরা। কাউন্টার ভাংচুর ও লোটপাটে দেড় শতাধিক দুবৃত্ত অংশ নেয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা।
ময়মনসিংহ জেলা মটর মালিক সভাপতি আলমগীর মাহমুদ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, "দুপুর একটার দিকে মাসকান্দা কাউন্টারে ভাংচুর ও লোটপাটের ঘটনা ঘটনায় একদল দুবৃত্ত। পরে শ্রমিকরা বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে রাতে জেলা প্রশাসনের সাখে আলোচনা করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। " এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন, "তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে প্রকৃত দোষীরা বেরিয়ে আসবে।"
দুপুরে একদল দুবৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনালে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের টিকিট কাউন্টারটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। বন্ধ করে দেয় ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের কাউন্টার। ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের কাউন্টারটি বন্ধ করে দেওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক শত যাত্রী। যাত্রীরা অগ্রীম টিকেট করেও যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মাসকান্দা বাস কাউন্টারের এক কর্মী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, "দুপুরের দিকে হঠাৎ একদল দুবৃত্ত দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাস কাউন্টারে হামলা চালায়। হামলা করে কাউন্টার ও ভিতরে ভাংচুর করে। এসময় কাউন্টারে থাকা টাকা লোটপাটের ঘটনা ঘটেছে।"
মজিবুর রহমান নামে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, "আমি অগ্রিম টিকেট করে রেখেছিলাম। বাসষ্টেন্ডে এসে দেখি কে বা কারা ভাংচুর করেছে। এতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমি ঢাকা গিয়ে সেখান থেকে রবিশাল যাব। লঞ্চের টিকেট কেনা। এখন কোনভাবেই ঢাকা যেতে পারছি না। "
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী বাসষ্টেন্ডের আরেক কর্মী বলেন, "যারা ভাংচুর করতে এসেছিল। তারা স্লোগান দিচ্ছি। আওয়ামীগ বা আওয়ামীলীগ নেতা শামীমের কোন বাস চলবে না। এসব স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টার ভাংচুর করে।"
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, "গত বছরের ৫ অগাস্টের আগে যারা বাসস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করতো এখনও তারা করছে, এমন অভিযোগে অজ্ঞাতরা ভাঙচুর চালিয়েছে। তবে, জেলা প্রশাসনের সাথে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নেতারা আলোচনা করে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"