মনোনয়ন দৌড়ে বিশ্বাসী নই, দল চাইলে নির্বাচনে প্রস্তুত: ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশার প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেছেন, “দুইশো মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা চালানো ধরনের মনোনয়ন দৌড়ে আমি বিশ্বাসী নই। এমন সংস্কৃতির জন্য বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেশে আসিনি। দল চাইলে নির্বাচনে প্রস্তুত আছি।”
রবিবার (১০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঝালকাঠির উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের নানা প্রস্তাব-অভিযোগের জবাবে ড. হায়দার বলেন, “বিশ্বের যেকোনো দেশে থাকতে পারতাম, কিন্তু দেশের জন্য কিছু করার বাসনা থেকেই দেশে ফিরেছি। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ঝালকাঠি উন্নয়ন অবহেলায় পিছিয়ে আছে। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ভেঙে পড়েছে, পর্যটন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। ইকোপার্ক প্রকল্প বছরের পর বছর আটকে আছে, পৌর মিনিপার্ক ও পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থা শোচনীয়।
উত্তরে ড. হায়দার বলেন, “একাত্তরে পাক হানাদাররা ঝালকাঠি শহর পুড়িয়ে দিয়েছিল। এখনও জেলার অর্থনীতি সেই পোড়া অবস্থার ভার বহন করছে। লবণ শিল্প বা অন্যান্য সম্ভাবনাময় ব্যবসার কেন্দ্র হতে পারে ঝালকাঠি। সরকারি স্কুলগুলোকে আগের মানে ফিরিয়ে আনতে হবে। মডেল টাউন ও ইন্টিগ্রেটেড আরবান এরিয়া গড়তে কাজ করব।”
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। “আমরা চাই একজন পাটিকর মাসে ১৫০০ নয়, ১৫ লাখ টাকা আয় করুক,”—যোগ করেন তিনি। ইকোপার্কের দখলদারিত্ব ও মামলার বিষয়ে এটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আককাস সিকদারসহ সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।