সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মার্চ ফর ইউনূস কর্মসূচি পালন

সংস্কারের আগে নির্বাচ না দেওয়া এবং ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেয়াদ কমপক্ষে ৩ বছর করার দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মার্চ ফর ড. ইউনূস কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে জুলাই আন্দোলনে আহত আলভী ইসলাম নিলয়, আলিফ দেওয়ান, ফাহিম খন্দকার অমিসহ কয়েকজন তরুন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘সাধারন মানুষ এখন ড. ইউনূসকে নিয়ে একটা আশা দেখছেন। আমরা চাই আগে দেশে সংস্কার হোক, পরে নির্বাচন। আমরা যদি বিগত দিনগুলোর কথা চিন্তা করি, তাহলে দেখা যাবে বিদেশি বিনিয়োগ খুব একটা ছিল না। এখন ড.ইউনুস চাচ্ছেন প্রতিটি দেশের বিনিয়োগ হোক আমাদের দেশে। এজন্য তিনি রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। সামনে আমাদের দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে, বেকারত্ব হ্রাস পাবে। আমাদের স্বপ্ন ছিল উন্নত দেশের মতো যেনো আমরা তাল মিলিয়ে চলতে পারি। আমাদের দেশ নিয়ে যাতে আমরা গর্ব করতে পারি। বাংলাদেশের যুবকরা একটা সময়ে চিন্তা করত, কবে দেশ ছাড়ব। কিন্তু না এখন দেশের ছাত্র-জনতা, সাধারণ মানুষসহ সর্বস্তরের মানুষ সবাই চিন্তা করে আমাদের দেশটাও ইউরোপ আমেরিকার মতো ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা আমদের জায়গা থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আজকে আমাদের এখানে জনসমাবেশ কম হলেও ভবিষ্যতে এই দাবিতে সকলেই এক কাতারে দাঁড়াতে পারবেন।’
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ‘ড. মোহাম্মদ ইউনূস দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই দেশের মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য উনাকে খুব প্রয়োজন। আমরা নির্বাচন চাই। তবে সেটা সংস্কারের আগে না। আগে সব ধরনের সংস্কার শেষ হবে তার পরে। যখন কোনো ব্যবসা করতে চাঁদা দিতে হবে না। এখন কারা বেশি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, এটা আপনারা জানেন। আমরা আবারও বলছি, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’
উল্লেখ্য, তাদের এই কর্মসূচির ব্যানারে উল্লেখ ছিলো- দেশের সংস্কারকে বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসুন। আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন। কন্ঠে লাগাও আবার জোর, স্বৈরাচারেরা দিবে দৌড়।