ময়মনসিংহ মেডিকেল শিক্ষার্থীর ইনজেকশন প্রয়োগে আত্মহত্যা!

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শরিফা ইয়াসমিন সোমা (২১) নামে এক শিক্ষার্থী ইনজেকশন প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ৪ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট-ইনজেকশন সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমা খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তবে মেডিকেল সাইন্স লেখাপড়ায় তার আগ্রহ ছিল না। অন্য কোন বিষয়ে লেখাপড়া করতে চেয়েছিলেন। সুইসাইড নোটে উল্লেখ্যযোগ্য লেখার মাঝে এসব কথা লিখা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শরিফা ইয়াসমিন সোমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা জেলার খালিশপুরের তায়েদুর রহমান এবং ফাতেমা আক্তার দম্পতির কন্যা।
গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১ টার দিকে মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম শিক্ষার্থী আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সোমা শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট ও ইনজেকশন সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে।
সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমা দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওসি বলেন, সোমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমার মৃত্যুর খবর পেয়ে ময়মনসিংহের পথে রওনা হয়েছেন তার বাবা মা। তারা পৌঁছানোর পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।