শিবির নির্বাচন কমিশনকে জিম্মি করে রাকসুর তফসিল আদায় করেছে - ছাত্রদল সভাপতি

“শিবিরের নেতাকর্মীরা কোষাধ্যক্ষের রুমে গিয়ে নির্বাচন কমিশনাদের জিম্মি করে তফসিল আদায় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ফ্যাসিস্ট দোসরদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রাহী বলেন, আমাদের নেতাকর্মী যারা রাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি করে রাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো দলকানা লোকদের নিয়োগ না দেওয়ার দাবি জানালেও প্রশাসন সাবেক শিবিরের নেতাকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়। শিবির কোষাধ্যক্ষের রুমে গিয়ে নির্বাচন কমিশনাদের জিম্মি করে রাকসুর তফসিল আদায় করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, উপাচার্য আমাদের সাথে প্রতারণা করে জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন। আবাসিক হলগুলোতেও জামায়াতের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন কোটার মাধ্যমে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছে। তাঁরা নিয়োগ পেয়ে রাকসু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কারচুপি করতে থাকে যাতে রাকসু সুষ্ঠুভাবে না হয়।
ছাত্রদল নেতা বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল ফ্যাসিবাদের দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করা কিন্তু এই প্রশাসন এসব দোসরদের সাথে আঁতাত করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নামে যে দুর্নীতি এবং রাকসু নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের নাটিক সাজানো হচ্ছে এ সব কিছুর জন্য দায়ী ফ্যাসিবাদের দোসর। এই প্রশাসনকে গণতান্ত্রিক উপায়ে আমাদের সকল যৌক্তিক দাবি মানতে হবে। দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করার কথাও বলেন তিনি।
এসময় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, বর্তমান প্রশাসন জামাতপন্থী এবং তাঁরা একতরফাভাবে রাকসু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।
সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু। এসময় ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ২১জন শিক্ষককে ফ্যাসিবাদী দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।