মেয়াদোত্তীর্ণ সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ঝুঁকিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবগুলো একাডেমিক ও হল ভবন বহুতল। তার বেশিরভাগ দশ তলা বিশিষ্ট। এসব ভবনের আগ্নি দূর্ঘটনা রোধের আছে কেবল গুটিকয়েক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন ভবনে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। ফলে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দেখা দিয়েছে গুরুতর উদ্বেগ।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডারগুলোর প্রায় সবকটার মেয়াদ গত ২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের বেশিরভাগ বিকল অবস্থায় পাওয়া গেছে।
অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডারগুলোর উচ্চচাপে কার্বন ডাই-অক্সাইড বা ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার থাকে। এসব যন্ত্রের চাপ কমে গেলে তার রাসায়নিক উপাদানের কার্যকারিতা আর থাকে না।
মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারগুলোর চাপ কমে যাওয়ায় এখন অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এই মুহূর্তে একটি ছোট দূর্ঘটনাও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রগুলো পরিবর্তন করা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানব সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন,
অগ্নি নির্বাপন সিলিন্ডারে একটাও কাজ করে না, আমরা যারা হলে থাকি সব সময় বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করি, আবার অনেকে রান্নাবান্না করে।এখন যদি কোনভাবে আগুন লাগে তাহলে নিভানোর কোন ব্যবস্থা নাই। বিশেষ করে হালের উপরের তলাগুলোতে আগুন লাগলে ঐ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসও পৌঁছাতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, “ক্যাম্পাসের যেসব স্থাপনায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে দায়িত্বরতদের কাছে চাহিদাপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চাহিদাপত্র পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”