প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথা সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে --গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজ, সুদ, ঘুষ, ধর্ষণ, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত দেশ গড়তে ইসলামী শাসন বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। এ দেশের মানুষ আর কোন স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সৎ, যোগ্য, দেশপ্রেমিক লোক এখন সময়ের দাবী। যা সাপ্লাইয়ের কারখানা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, বিগত সরকার উন্নয়নের কথা বলে বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করেছে। চেতনার কথা বলে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে জাতীয় ঐক্য ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নতুন এই বাংলাদেশে সেই ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা কোনোভাবেই বরদাসত করা হবে না। তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে যথা সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে বরুনা বাজারে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ইউনিয়ন আমীর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, ডুমুরিয়া-ফুলতলা কল্যাণ পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। ৫ শতাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হামলা-মামলার শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। আগস্টের ১ তারিখ আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহ তায়ালাকে বলেছিলাম, ৪ দিন পর আল্লাহ তায়ালার বিচার হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। জালিমের মাথা আল্লাহ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।