রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভারত ও বাংলাদেশের কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অভিযানে ভারত ও বাংলাদেশের কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য এবং মালামাল লুটপাটের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক। বাগেরহাট জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ভারতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিন বছরের কর মওকুপ করা হলেও, বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর মওকুফ করা হয় না।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান জানান, দুই দেশের নাগরিকদের বেতন বৈষম্য, কর মৌকুফে অনিয়ম, কয়লা ক্রয়ে নয়-ছয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রথামিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্য প্রমান সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গরদাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুই ইউনিট বিশিষ্ট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করে দুই দেশের সরকার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দ্বীতিয় ইউনিট উৎপাদনে যায়। উৎপাদনে যাওয়ার পর থেকে নানা কারণে মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র।